শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা লালমনিরহাটে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র চেক হস্তান্তর লালমনিরহাটে পালিত হলো বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস

রাতে এলইডি লাইটের কারণে ঝুঁকিতে মানুষজন

লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন সড়কসহ বড়বাড়ী-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কে সন্ধ্যা নামলেই এলইডি লাইট জ্বালানো যানবাহন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সাধারণ জনগণের চলাফেরা। কারণ এখন অটোরিক্সা, মাহিন্দ্রা, মটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার বেড়ে গেছে। ফলে অহরহ ঘটছেও দুর্ঘটনা। এই লাইটের আলোতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে রাতের লালমনিরহাট।

 

গ্রাম থেকে শহরে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে শত শত ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ি। এই সকল যানবাহনের সামনের হেডলাইট হিসেবে যত্রতত্র যুক্ত করা হয়েছে এলইডি লাইট। রাতের আধার নামলেই ওই লাইটের কারণে বিপরীতমুখি যানবাহন চালক কিছুই দেখতে পারছেন না। ঝুঁকিও বাড়ছে বড় ধরণের দুর্ঘটনা আর প্রাণনাশের।

 

সমাজ সচেতন মহল জানিয়েছেন রাতে অন্ধকার নামলেই এলইডি লাইটযুক্ত এ সকল অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ির বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন চালকের চোখ ধাধিয়ে যায়। এই লাইট দুর্ঘটনার জন্য একটি বড় কারণ। প্রায়ই পথে ঘাটে দেখা যায় এগুলো। দ্রুত ধেয়ে আসা এই লাইটযুক্ত যানবাহনের দিকে চোখ পড়লেই চোখ ধাধানো আলোয় সামনের দিকের আর কোনো কিছুই স্পষ্ট দেখা যায় না।

 

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় সর্বত্র দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে নানা ধরনের যানবাহনের সংখ্যা আর সেই সাথে বেড়ে চলছে এলইডি লাইটের ব্যবহার। দিন দিন যেন এই আলোর কারণে জনজীবনে দুর্ভোগের শেষ নেই।

 

লালমনিরহাটসহ প্রায় বিভিন্ন উপজেলার অলিগলি ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি অটোভ্যান, অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা, নসিমন, করিমনসহ অন্যান্য অনেক যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার হচ্ছে হরহামেসাই এই লাইটের আলোর কারণে দাড়িয়ে যায় পথচারীরা। কারণ একটু সতর্ক না হলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

 

একটা সময় ছিল যখন সন্ধ্যার পরে ভ্যান-রিক্সা চালানোর জন্য ভ্যানের বডির নিচে অবশ্যই হারিকেন বা সামনে কৌটার ভিতর ল্যাম্প (কুপি) জ্বালিয়ে চলাচলের কঠিন নির্দেশ মানতেন চালকরা। আজ আর সেটা দেখা যায় না।

 

সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলোর মধ্যে এটিও একটি বড় ধরনের অন্যতম কারণ বলা চলে। যা এখনই প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী প্রয়োজন।

 

বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকদের মতে, এলইডি লাইটের প্রভাবে মানুষের চোখে কর্ণিয়া থাকে এবং এই আলো সরাসরি চোখে লাগলে চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন এভাবে আলো চোখে লাগতে থাকলে কর্ণিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যাতে করে চোখে কম দেখা, ঝাপসা দেখাসহ আস্তে আস্তে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই আলো সরাসরি চোখে লাগলে চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এমনকি ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রকট।

 

এই ধরনের এলইডি লাইট থেকে সবার চোখের ক্ষতি ও দুর্ঘটনা রোধে অনতিবিলম্বে এলইডি লাইট যুক্ত যানবাহনগুলির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে সাধারণ জনগণ।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone